January 18, 2025, 11:52 am

সংবাদ শিরোনাম
সম্ভাবনার নতুন দ্বার #বাউ_মুরগি চিলাহাটিতে ভাগ্য ফিরেছে নারীদের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন :নিহত এক শিশু পরিকল্পিত দাবী রোহিঙ্গাদের তারুণ্যের উৎসব ঘিরে নীলফামারী পৌরসভার উদ্যোগে বিশেষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শেকৃবি’র উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ ও এমজিবি’র উদ্যোগে নগর কৃষির প্রসার সিলেট সিমান্তে ০২ জন ভারতীয় নাগরিক আটক হিলিতে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌয়ালরা বেনাপোলে পুলিশের অভিযানে ভারতীয় ফেনসিডিল সহ আটক-১ লামায় শ্যালকের পিটুনিতে দুলাভাইের মৃত্যু ইসলামপুরে ৮ দফা দাবিতে বাংলাদেশ বিক্রয় প্রতিনিধি জােটের মানববন্ধন সম্ভাবনার নতুন দ্বার ‘বাউ মুরগি’, চিলাহাটিতে ভাগ্য ফিরেছে নারীদের

চিলমারীতে ভিজিডি’র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ নিন্ম মানের চালও পরিমানে ২ কেজি উধাও

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দুঃস্থ মহিলাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন বাস্তবায়িত (ভিজিডি) প্রকল্পের আওতায় নিম্ন মানের চালবিতরণ ও ৩০কেজি চালের মধ্যে  দেড় থেকে  দুই কেজি চাল কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যানের গোলাম আশেক আকার বিরুদ্ধে। সরকারীভাবে কার্ড প্রতি মাসে  ৩০ কেজি চাল দেয়ার বিধান থাকলেও  ২৮  কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। চালবিতরনকালে।দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারকে পাওয়া যায়নি। ইউপি চেয়ারম্যান জানান ভালো ও খারাপ চাল একসাথে মিশ্রিত করে বিতরন করা হয়েছে এছাড়া ও উপজেলার খাদ্য  অফিস চাল কম দেয়ায় কিছু চাল কম দিতে হয়েছে।
সরেজমিনে চিলমারী উপজেলার মঙ্গলবার রমনা মডেল ইউনিয়নে চাল বিতরনকালে দেখা যায়, সুবিধাভুগিদের ৩০ কেজি চাল দেয়ার কথা থাকলেও ২৮ থেকে সাড়ে ২৮ কেজি চাল বিতরন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ৩০কেজি চালের বস্তা খুলে নিম্ন মানের চালের সাথে সমন্বয় করে দেয়া হচ্ছে বলে দেখা গেছে।
রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ এলাকা থেকে ভিজিডির চাল নিতে আসা শাহিদা বেগম (৪৫), রুপি বেগম(৫০) বলেন, চালের মান খুব খারাপ । ভালো খারাপ চাল সমন্বয় করে দিতেছে। আমরা তো আর তাদের কিছু বলতে পারি না। ২৮ কেজি করে চাল আমাদের দেয়া হচ্ছে।
একই ইউনিয়নের সুবিধাভুগি কহিনুর বেগম ক্ষোভ নিয়ে বলেন চালের মান খুব খারাপ সেই সাথে দেড় থেকে  দুই কেজি চাল কম দিচ্ছে। এটা কিরকম নিয়ম।
ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিতরণের সময় ছিলাম কিন্তু পরে জরুরী কাজে বাহিরে চলে এসেছি।
এবিষয়ে রমনা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, আমাকে খাদ্য গুদাম থেকে চাল প্রতি বস্তায় কম দিয়েছে  এ ছাড়াও নিম্ন মানের কিছু চাল দিয়েছে। তাই আমি বস্তা খুলে ভালো খারাপ চাল সমন্বয় করে ২৮ কেজি ৫শ গ্রাম করে চাল বিতরণ করেছি।
উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, আমরা কোন বস্তায় চাল কম দিইনি । আর কিছু বস্তা খামালের নিচে থাকায় চালের মান একটু খারাপ হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, ৩০ কেজি চালের বস্তা খোলার সুযোগ নেই এবং পরিমাণেও কম দেয়ার নিয়ম নেই। চালের মান খারাপ হওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠেনা । যেহেতু বিষয়টি শুনলাম তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর